মুতাশাবীহ আয়াত নিয়ে এক সালাফির সাথে কথোপকথনঃ
এক সালাফি বলছেনঃ আপনি মুতাশাবীহ আয়াত নিয়ে বেশী কথা বলেন কেন ?
আমি বললামঃ তো ভাই এই সমস্ত আয়াতের ক্ষেত্রে কী করণীও ?
তিনি বললেনঃ এই সমস্ত আয়াতের জ্ঞান আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ জানেন না।
আমি বললামঃ মা শা আল্লাহ্ । তো ভাই ثم استوى على العرش এই মুতাশাবীহ আয়াতের অর্থ কী ?
তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ আরশে সমাসীন ।
আমি বললামঃ নাউজুবিল্লাহ । এই মাত্র না আপনি বললেন এই সমস্ত আয়াতের জ্ঞান আল্লাহ্ই জানেন । তো আপনি কিভাবে জানলেন , استوى মানে “সমাসীন” ?
তিনি বললেনঃ আরে আপনি বুঝেন নাই ।
আমি বললামঃ তাই না কী , তো ভাই একটু বুঝিয়ে বলেন ।
তিনি বললেনঃ মানে এই সমস্ত আয়াতের বাহ্যিক অর্থ আমরা জানি কিন্তু তার ধরণ আমরা জানি না ।
আমি বললামঃ এই তো লাইনে আসলেন । এখন বের হল আপনার ভিতরে থাকা বাতিল আকিদা । কেন জাতিকে এমন অপব্যখ্যা করে ধোঁকা দেন ?
আশা করি আজ থেকে বাস্তব ও সত্য কথাটা বলবেন। অর্থাৎঃ “মুতাশাবিহ আয়াতের অর্থ আমরা জানি কিন্তু এই অর্থের ধরণ আমরা জানি না” । কেননা তখন সচতন এবং পূর্ববর্তী বাতিল ফেরকা সম্পর্কে যার ধারণা আছে , সে খুব সহজেই বুঝে যাবে পূর্বে কারা এই সমস্ত শব্দের বাহ্যিক অর্থ ধরতো ।
আমি বললামঃ তো ভাই এই সমস্ত আয়াতের ক্ষেত্রে কী করণীও ?
তিনি বললেনঃ এই সমস্ত আয়াতের জ্ঞান আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ জানেন না।
আমি বললামঃ মা শা আল্লাহ্ । তো ভাই ثم استوى على العرش এই মুতাশাবীহ আয়াতের অর্থ কী ?
তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ আরশে সমাসীন ।
আমি বললামঃ নাউজুবিল্লাহ । এই মাত্র না আপনি বললেন এই সমস্ত আয়াতের জ্ঞান আল্লাহ্ই জানেন । তো আপনি কিভাবে জানলেন , استوى মানে “সমাসীন” ?
তিনি বললেনঃ আরে আপনি বুঝেন নাই ।
আমি বললামঃ তাই না কী , তো ভাই একটু বুঝিয়ে বলেন ।
তিনি বললেনঃ মানে এই সমস্ত আয়াতের বাহ্যিক অর্থ আমরা জানি কিন্তু তার ধরণ আমরা জানি না ।
আমি বললামঃ এই তো লাইনে আসলেন । এখন বের হল আপনার ভিতরে থাকা বাতিল আকিদা । কেন জাতিকে এমন অপব্যখ্যা করে ধোঁকা দেন ?
আশা করি আজ থেকে বাস্তব ও সত্য কথাটা বলবেন। অর্থাৎঃ “মুতাশাবিহ আয়াতের অর্থ আমরা জানি কিন্তু এই অর্থের ধরণ আমরা জানি না” । কেননা তখন সচতন এবং পূর্ববর্তী বাতিল ফেরকা সম্পর্কে যার ধারণা আছে , সে খুব সহজেই বুঝে যাবে পূর্বে কারা এই সমস্ত শব্দের বাহ্যিক অর্থ ধরতো ।
এরপরে তাকে ইমাম সুয়ুতি রঃ এর “আল ইতকান ফি উলুমিল কোরআন” কিতাবে বিভিন্ন ইমামদের থেকে নকল করা “মুহকাম ও মুতাশাবীহ” এর আটটি সংজ্ঞা দেখালাম এবং বললামঃ দেখেন তো এর মধ্যে কেউ মুতাশাবীহ আয়াতের ক্ষেত্রে এমন ব্যাখ্যা করেছেন , যা আপনি করছেন ?
বেচারা ভাই বাংলা সালাফি , তাই আরবী পড়তে পারে না
পরে বললামঃ ভাই আরবী বুঝে এমন কোন সালাফি থাকলে তার থেকে “আল ইতকান ফি উলুমিল কোরআন” থেকে “আল মুহকাম ও মুতাশাবীহ” অধ্যায়টা বুঝে নিবেন ।
সর্বশেষ ইমাম ইবনুল জাওজির “দাফউ শুবহাতিত তাশবীহ” কিতাব থেকে শুনালাম । দেখুন ইমাম ইবনুল জাওজি শত শত বছর পূর্বে আপনাদের বিরুদ্ধে বলে গেছেনঃ কেউ কেউ বলে “মুতাশাবীহ আয়াতকে তার বাহ্যিক অর্থে নেওয়া হবে । বড় অবাক লাগে এদের কথা শুনলে , যার অর্থ আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ জানেন না , তার আবার বাহ্যিক অর্থ আছে না কী ? استوى ( ইসতেওয়া ) এর বাহ্যিক অর্থ “বসা” ছাড়া আর কী হতে পারে । এবং نزول ( নুযূল ) নামা এর বাহ্যিক অর্থ “স্থানান্তর” ছাড়া আর কী হতে পারে ?
ভাই সাহাবা , তাবীঈ , তাবে তাবীঈ , তারা এই সমস্ত আয়াত নিয়ে বেশী কথা বলতেন না । যেই ভাবে এসেছে সেই ভাবেই ঈমান আনতেন । কিন্তু পড়ে যখন মুতাজিলা , খারেজি , শিয়া , মুশাব্বিহা , মুজাসসিমা , জাহমিয়া বিভিন্ন বাতিল ফেরকা কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা করে বাতিল আকিদা প্রচার শুরু করল , তখন আহলে সুন্নাত ও জামাতের ইমামরা কলম ধরলেন এবং প্রতিটি আয়াতের সহি বুঝ পরবর্তীদের নিকট স্পষ্ট করে গেছেন , যেন আমরা ধোঁকা না খাই । এই যে দেখলেন না আপনি আকিদা রাখেন পূর্বেকার মুজাসসিমা হাশাঈদের কিন্তু মুখে বলেন কোরআন ও সুন্নাহের আকিদা রাখি । আমরা তো শুধু তাদের দেওয়া ব্যাখ্যা গুলোই সকলের নিকট নকল করছি , কেননা আমাদের যুগেও পূর্বেকার মুজাসসিমা হাশাঈ আকিদার কিছু মানুষ দেখতে পাচ্ছি ।
পরে বললামঃ ভাই আরবী বুঝে এমন কোন সালাফি থাকলে তার থেকে “আল ইতকান ফি উলুমিল কোরআন” থেকে “আল মুহকাম ও মুতাশাবীহ” অধ্যায়টা বুঝে নিবেন ।
সর্বশেষ ইমাম ইবনুল জাওজির “দাফউ শুবহাতিত তাশবীহ” কিতাব থেকে শুনালাম । দেখুন ইমাম ইবনুল জাওজি শত শত বছর পূর্বে আপনাদের বিরুদ্ধে বলে গেছেনঃ কেউ কেউ বলে “মুতাশাবীহ আয়াতকে তার বাহ্যিক অর্থে নেওয়া হবে । বড় অবাক লাগে এদের কথা শুনলে , যার অর্থ আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ জানেন না , তার আবার বাহ্যিক অর্থ আছে না কী ? استوى ( ইসতেওয়া ) এর বাহ্যিক অর্থ “বসা” ছাড়া আর কী হতে পারে । এবং نزول ( নুযূল ) নামা এর বাহ্যিক অর্থ “স্থানান্তর” ছাড়া আর কী হতে পারে ?
ভাই সাহাবা , তাবীঈ , তাবে তাবীঈ , তারা এই সমস্ত আয়াত নিয়ে বেশী কথা বলতেন না । যেই ভাবে এসেছে সেই ভাবেই ঈমান আনতেন । কিন্তু পড়ে যখন মুতাজিলা , খারেজি , শিয়া , মুশাব্বিহা , মুজাসসিমা , জাহমিয়া বিভিন্ন বাতিল ফেরকা কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা করে বাতিল আকিদা প্রচার শুরু করল , তখন আহলে সুন্নাত ও জামাতের ইমামরা কলম ধরলেন এবং প্রতিটি আয়াতের সহি বুঝ পরবর্তীদের নিকট স্পষ্ট করে গেছেন , যেন আমরা ধোঁকা না খাই । এই যে দেখলেন না আপনি আকিদা রাখেন পূর্বেকার মুজাসসিমা হাশাঈদের কিন্তু মুখে বলেন কোরআন ও সুন্নাহের আকিদা রাখি । আমরা তো শুধু তাদের দেওয়া ব্যাখ্যা গুলোই সকলের নিকট নকল করছি , কেননা আমাদের যুগেও পূর্বেকার মুজাসসিমা হাশাঈ আকিদার কিছু মানুষ দেখতে পাচ্ছি ।


No comments