আল্লাহ্ কী সত্ত্বাগত ভাবে আরশে আছেন ?
আল্লাহ্ উঁচু হওয়ার দুই অর্থঃ
১ – আল্লাহ্ সত্ত্বাগত ভাবে উঁচু হওয়া যা পূর্ববর্তী গোমরাহ মুশাব্বীহা , হাশাঈদের আকিদা । বর্তমানে তারা নাম পরিবর্তন করে হয়েছে “সালাফি” ।
২ – আল্লাহ্ মর্যাদাগত ভাবে উঁচু । এটা আহলে সুন্নাত ও জামাতের আকিদা । কেননা তারা আল্লাহ্কে জায়গার মুখাপেক্ষী মনে করেন না ।
হজরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত , রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ......... নিশ্চয় তোমাদের কেউ যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে কথা বলে । অথবা তার রব তার ও কিবলার মাঝে আছে ...... ( বুখারির ৪০৫ )
ইমাম ইবনে হাজার এই হাদিসের ব্যাখ্যাতে বলেনঃ এই হাদিস তাদের বিরুদ্ধে দলিল যারা বলে আল্লাহ্ সত্ত্বাগত ভাবে আরশে আছেন । ( ফাতহুল বারী ১ / ৬৩৯ )
ইমাম ইবনে হাজার রঃ বলেনঃ উপর , নীচ এই দিক দুটি আল্লাহ্র সাথে ব্যবহার অসম্ভব হওয়ার কারণে আল্লাহ্ সত্ত্বাগত ভাবে উপরে আছে এটা বলা যাবে না । কেননা আল্লাহ্র উঁচু হওয়ার অর্থ হল মর্যাদাগত দিক থেকে , সত্ত্বাগত ভাবে অথবা পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা সম্ভব , এই দিক থেকে আল্লাহ্ উঁচু হওয়া অসম্ভব । ( ফাতহুল বারী – ৬ / ১৭৪ )
যারা আজ বাংলাদেশে এই কথা বলে গলা ফাটাচ্ছে , তাদের আকিদার বিরোধিতা করে শুধু দেওবন্দিরা তাদের বলবো হজরত ইবনে হাজারের কথাটা ভালো করে হজম করুন । তিনি কি দেওবন্দি ছিলেন ? অবশ্য তাদেরও দোষ নাই কেননা এরা সূরা ফাতেহা সহিভাবে পড়তে পারে না ফাতহুল বারী খুলে হাদিসের ব্যাখ্যা পড়া তো বহুত দূরের কথা ।
১ – আল্লাহ্ সত্ত্বাগত ভাবে উঁচু হওয়া যা পূর্ববর্তী গোমরাহ মুশাব্বীহা , হাশাঈদের আকিদা । বর্তমানে তারা নাম পরিবর্তন করে হয়েছে “সালাফি” ।
২ – আল্লাহ্ মর্যাদাগত ভাবে উঁচু । এটা আহলে সুন্নাত ও জামাতের আকিদা । কেননা তারা আল্লাহ্কে জায়গার মুখাপেক্ষী মনে করেন না ।
হজরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত , রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ......... নিশ্চয় তোমাদের কেউ যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে কথা বলে । অথবা তার রব তার ও কিবলার মাঝে আছে ...... ( বুখারির ৪০৫ )
ইমাম ইবনে হাজার এই হাদিসের ব্যাখ্যাতে বলেনঃ এই হাদিস তাদের বিরুদ্ধে দলিল যারা বলে আল্লাহ্ সত্ত্বাগত ভাবে আরশে আছেন । ( ফাতহুল বারী ১ / ৬৩৯ )
ইমাম ইবনে হাজার রঃ বলেনঃ উপর , নীচ এই দিক দুটি আল্লাহ্র সাথে ব্যবহার অসম্ভব হওয়ার কারণে আল্লাহ্ সত্ত্বাগত ভাবে উপরে আছে এটা বলা যাবে না । কেননা আল্লাহ্র উঁচু হওয়ার অর্থ হল মর্যাদাগত দিক থেকে , সত্ত্বাগত ভাবে অথবা পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা সম্ভব , এই দিক থেকে আল্লাহ্ উঁচু হওয়া অসম্ভব । ( ফাতহুল বারী – ৬ / ১৭৪ )
যারা আজ বাংলাদেশে এই কথা বলে গলা ফাটাচ্ছে , তাদের আকিদার বিরোধিতা করে শুধু দেওবন্দিরা তাদের বলবো হজরত ইবনে হাজারের কথাটা ভালো করে হজম করুন । তিনি কি দেওবন্দি ছিলেন ? অবশ্য তাদেরও দোষ নাই কেননা এরা সূরা ফাতেহা সহিভাবে পড়তে পারে না ফাতহুল বারী খুলে হাদিসের ব্যাখ্যা পড়া তো বহুত দূরের কথা ।
আহলে সুন্নাত ও জামাত আল্লাহ্কে কোন জায়গার মুখাপেক্ষী মনে করেন না । কিন্তু মুসলিম শরীফে বর্ণিত বাদীর হাদিসে শব্দ ব্যবহার হয়েছে في ( মাঝে , মধ্যে ) এই শব্দের সঠিক অর্থ বুঝতে পারেনি গোমরাহ মুজাসসিমা , হাশাঈরা । যাদের বর্তমান নাম হল “সালাফি” কেননা তারা এটা দ্বারা আল্লাহ্র জন্য সত্ত্বাগত ভাবে উঁচু হওয়া সাব্যস্ত করে । অথচ দেখুন ইমাম বাজী বলছেনঃ বাদীর এই কথা বলা “আসমানে” এটা দ্বারা তার উদ্দেশ্য হচ্ছে মর্যাদাগত ভাবে উঁচু হওয়া বুঝানো । যেমন আমরা বলে থাকি অমুকে আসমানে আছে এটা দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্য হয় তার মর্যাদা ও সম্মান অনেক উঁচু । ( আল মুনতাকা ৬ / ২৭৪ )
বর্তমান সালাফিরা আল্লাহ্র জন্য আরশকে স্থান হিসাবে সাব্যস্ত করেন। অথচ আল্লাহ সম্পর্কে এটা কত জঘন্য আকিদা তা ইমাম রাজী রঃ এর কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ঃ
ইমাম রাজী রঃ বলেনঃ একটা কথা যেনে রাখোঃ মুশাব্বিহা জাতিরা এই আয়াত দ্বারা ( أ أمنتم من في السماء ) আল্লাহ্র জন্য স্থান সাব্যস্ত করে । অথচ সকল মুসলিমরা একমত যে , এই আয়াত তার বাহ্যিক অর্থের উপর হবে না । কেননা আল্লাহ্ আসমানে থাকার অর্থ হল আসমান সকল দিক থেকে তাকে বেষ্টন করে নেওয়া , ফলে আল্লাহ্ হবেন আসমান থেকে আকারে অনেক ছোট এবং আসমান হবে আরশ থেকে আকারে অনেক ছোট ফলে তখন এটা সাব্যস্ত হবে , আল্লাহ্ আরশের তুলনায় তুচ্ছ অথচ সকল " আহলে ইসলামের ঐক্যমত হল ” আল্লাহ্র জন্য "এটা হওয়া অসম্ভব" । ( তাফসীরে ইমাম রাজী - ৩০ / ৭১ )
বর্তমান সালাফিরা আল্লাহ্র জন্য আরশকে স্থান হিসাবে সাব্যস্ত করেন। অথচ আল্লাহ সম্পর্কে এটা কত জঘন্য আকিদা তা ইমাম রাজী রঃ এর কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ঃ
ইমাম রাজী রঃ বলেনঃ একটা কথা যেনে রাখোঃ মুশাব্বিহা জাতিরা এই আয়াত দ্বারা ( أ أمنتم من في السماء ) আল্লাহ্র জন্য স্থান সাব্যস্ত করে । অথচ সকল মুসলিমরা একমত যে , এই আয়াত তার বাহ্যিক অর্থের উপর হবে না । কেননা আল্লাহ্ আসমানে থাকার অর্থ হল আসমান সকল দিক থেকে তাকে বেষ্টন করে নেওয়া , ফলে আল্লাহ্ হবেন আসমান থেকে আকারে অনেক ছোট এবং আসমান হবে আরশ থেকে আকারে অনেক ছোট ফলে তখন এটা সাব্যস্ত হবে , আল্লাহ্ আরশের তুলনায় তুচ্ছ অথচ সকল " আহলে ইসলামের ঐক্যমত হল ” আল্লাহ্র জন্য "এটা হওয়া অসম্ভব" । ( তাফসীরে ইমাম রাজী - ৩০ / ৭১ )


No comments