বান্দা সিজদারত অবস্থায় তার প্রতিপালকের অধিক নিকটবর্তী
বান্দা সিজদারত অবস্থায় তার প্রতিপালকের অধিক নিকটবর্তী
হজরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিতঃ রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বান্দা সিজদারত অবস্থায় তার প্রতিপালকের অধিক নিকটবর্তী...। মুসলিমঃ ২১৫
উল্লেখিত হাদিসটি থেকে বুঝা যায় হাশাঈদের ( বর্তমান সালাফিদের ) আকিদা ভুল । কারণ তাদের দাবিঃ আল্লাহ্ আসমানে অথবা আসমানের উপরে আছেন ।
আল্লাহ্ যদি উপরে থাকেন তাহলে বান্দা সিজদা অবস্থায় অধিক নিকটবর্তী হয় কীভাবে ? কেননা দাঁড়ানো অবস্থা সিজদার তুলনায় উপর দিকের নিকটবর্তী । সুতরাং বুঝা যায় হাশাঈদের ( বর্তমান সালাফিদের ) আকিদা ভুল ।
আল্লাহ্র জন্য আসমান বা উপরের দিক সাব্যস্ত করা , এটা হল হাশাঈ মুশাব্বিহাদের আকিদা । অন্ধের মত সেই আকিদা অনুসরণ করছে বর্তমান সালাফিরা এবং এই গোমরাহি আকিদাকে "সহি আকিদা বা সালাফি আকিদা নামে বাজারে চালাচ্ছে ।
ইমাম ইবনে হাজার বড় চমৎকার বলেছেনঃ কেউ কেউ উল্লেখিত হাদিসটা ( শেষ রাত্রে আল্লাহ্র নেমে আসার হাদিসটা ) দ্বারা আল্লাহর জন্য দিক সাব্যস্ত করে, আর সেটা হল “উপরের দিক ”। "জুমহুর ওলামায়ে কেরাম এটাকে “অস্বীকার” করেছেন"। কারণ এই কথা বলা দ্বারা আল্লাহকে একটি যায়গাতে সীমাবদ্ধ করা হয় । আল্লাহ কোন যায়গাতে সীমাবদ্ধ হওয়া থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র ।
এরপরে ইবনে হাজার র বলেনঃ
নামার অর্থ নিয়ে ইখতেলাফ আছে । তবে কেউ কেউ এই "নামাকে" শব্দের বাহ্যিক ও প্রকৃত অর্থে গ্রহণ করে , তারাই হল “মুশাব্বিহা” ( অর্থাৎ এরাই আল্লাহকে তাশবিহ দেয় ) আল্লাহ তাদের এমন কথা থেকে চির পবিত্র । ( ফাতহুল বারী ৩ / ৩৬ )
এরপরে ইবনে হাজার র বলেনঃ
নামার অর্থ নিয়ে ইখতেলাফ আছে । তবে কেউ কেউ এই "নামাকে" শব্দের বাহ্যিক ও প্রকৃত অর্থে গ্রহণ করে , তারাই হল “মুশাব্বিহা” ( অর্থাৎ এরাই আল্লাহকে তাশবিহ দেয় ) আল্লাহ তাদের এমন কথা থেকে চির পবিত্র । ( ফাতহুল বারী ৩ / ৩৬ )
উল্লেখিত হাদিস থেকে এটাও বুঝা যায় আল্লাহ্ কোন স্থান বা দিকের মুখাপেক্ষী নন কেননা আল্লাহ কোন যায়গাতে সীমাবদ্ধ হওয়া থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র । যা আহলে সুন্নাত ও জামাতের আকিদা । বিষয়টা বিস্তারিত জানতে চাইলে এই লেখাটি পড়তে পারেনঃ https://labbaikbd.blogspot.com/2018/12/blog-post_29.html


No comments